বুঁর্জোয়াতন্ত্রের বুঁর্জোয়া পরিবারগুলো।
ফারহিন ভূঁইয়া ন্যান্সি।
বুঁর্জোয়াতন্ত্রের বুঁর্জোয়া পরিবারগুলোতে প্রেম-ভালোবাসা থাকে না, যা থাকে, তা হলো শুধু সম্পত্তি ও স্টেটাস রক্ষার জন্য একতা ও লড়াই।এখানে, প্রেম-ভালোবাসা ও মানবিক গুনাবলীও আসলে শ্রেনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, প্রভাবিত এবং পুনঃবিন্যাসকৃত।
সম্পর্কগুলো আসলে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের লড়াই। একটা জীবনব্যাপী পলিটিক্স, এ রাজনীতিকরণের প্রথম ও প্রাথমিক মেরু পরিবার। বস্তুত, প্রত্যেকটা মানুশই কুটনৈতিক! কারুর কারুর কলাকৌশল ধরা পড়ে, কারুরটা ধরা পড়ে না। দ্বন্দ্ব বাঁধে তখনি যখন আপনি ক্ষমতা নিজের হাতে নিতে চাইবেন। এটা, হলো কর্তৃত্বের লড়াই। সমতা কিংবা ভালোবাসার বা অধিকারের নয়। আপনি তখনি কারুর কাছে ভালো যখন আপনি তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন এবং তাকে আপনার নিয়ন্ত্রন তুলে দিবেন। এক্ষেত্রে, আপনি হলেন আম জনতা (রিপাবলিক) আর সে ব্যক্তি হলো, ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ (পলিটি)। আপনি, তখনি তার খারাপ অভিধানের তালিকাভুক্ত হবেন, যখন আপনি নিজেও কর্তৃত্ব ফলাতে চাইবেন বা সমান অধিকার চাইবেন, অথবা, কারুর ক্ষতি না করে অপরের নিয়ন্ত্রনের প্রভাব বলয়ে থাকতে না চেয়ে নিজের মত নিজে থাকতে চাইবেন, তখনি দেখবেন, বুঁর্জোয়া অধিকারতন্ত্রের পরিবার গুলোতে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা যায়। ভালবাসাগুলো সব ফানুস হয়ে উড়ে যায়। এটাই, চরম সত্য কথা যে, আধুনিক বুঁর্জোয়া হিসাবী পরিবারগুলোতে এখন কোনো আবেগীয় বন্ধন নেই, এই পরিবারগুলো টিকেই আছে হিসেবি র্যাশনালিটির উপর ভিত্তি করে, সমাজে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলবার নামে পুঁজি সঞ্চয়ন করে স্বয়ং একটা পুঁজিবাদী প্রতিষ্ঠান বনে!
Comments