আধুনিক সাক্ষাতকার গুলো
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যক্তির উপস্থিতিতে নস্যি করে তোলে। এই যেমন প্রযুক্তি থাকাতে আমরা ব্যক্তির ঠিক অতটুকুই নিচ্ছি যতটুকু আমাদের প্রয়োজন। যেমন, করোনা মহামারীতে জুম মিটিং, স্কাইপ, ওয়াটসএপ ও অন্যান্য ভিডিও কলিং আর মিটিং এপ গুলোর ব্যাপক প্রসারে এখন ব্যক্তিকে আর সামনাসামনি উপস্থিত থাকা লাগে।আমরা, মিটিং করি কেন, উন্মুক্ত আলোচনার জন্য। সে আলোচনাতে ব্যক্তির বিমূর্ত উপস্থাপনারও এখন প্রয়োজন পড়ছে না, অর্থাৎ, মিটিং এ দরকার কথা বলা ও কথা শোনা, তাই আমরা ব্যক্তিকে সামনাসামনি দেখারও প্রয়োজন মনে করছি না। দরকার হলে, অতিরিক্ত ফর্মাল সাজগোজেরও প্রয়োজন থাকছে না কারন মানুশ এখন মানুশের চেহারা দেখে কথা বলার অভ্যাসটাও ছেড়ে দিয়ে অবলীলায়! কারন, প্রযুক্তি ব্যবহারের উছিলায় আমরা বেছে নিচ্ছি আমাদের জন্য ব্যক্তিক সুবিধা। সেই, পরিস্থিতিতে ব্যক্তি মাত্রই নগন্য হয়ে যায়, ব্যক্তির কর্ম তথা কর্মই মুখ্য হয়ে যায় এবং, এতদ প্রক্রিয়াটি সংক্ষিপ্ত, বিমূর্ত ও নিরস হয়ে যায়। কারন, ব্যক্তি এখানে আর তার ব্যক্তিক প্রভাব দিয়ে অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে না, যা করতে পারে, তা হলো ব্যক্তিক মতামতের সমৃদ্ধ সাধন করে নিজের এবং অপরের মনোযোগ ধরে রাখা আর এটিই হলো, জুম প্রযুক্তির সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং জায়গা! যেখানে ব্যক্তিকে তার "ফ্রি স্পিচ" বা "কমিউনিকেটিভ স্পিচ" কে উন্নত করতে হয়। কথা বলায় জোর দিতে হয়। কথাটা, আকর্ষনীয় করে তোলার উপর গুরত্ব দিতে হয়,কারন, এখন এ সময়ে , ব্যক্তির বচনমাত্রই ব্যক্তির উপস্থিতি! ব্যক্তির কথা বলার আর্টটিই হলো তার চরিত্রায়ন এবং প্রভাবপ্রতিপত্তি!
Comments