জাগতিকতার উর্ধ্বে।


 -ফারহিন ভূঁইয়া ন্যান্সি।


জাগতিকতার উর্ধ্বে।


"জগতের প্রতি মায়া জাগতিক দুঃখ কষ্ট আরো বাড়িয়ে দেয়। জগত-সংসার থেকে মোহ উঠিয়ে নিলে কোনো দুঃখ আর কাউকে স্পর্স করতে পারে না। যেটা যেমন আছে-থাকুক না-চলুক- এমন বিচ্ছিন্নতাবাদী কিন্তু নিজেকে ভালো রাখার সচেতন প্রয়াসকে বোধ হয় বলে জাগতিকতার উর্ধ্বে উঠা বা অতিক্রম করা-আর একজন সম্পূর্ণ মানুষ হয়ে উঠা। শান্তিপূর্ণ, নিবিড়, নির্মোহ, জ্ঞানী ব্যক্তি হয়ে উঠা। যেখানে থাকতে পারে না কোনো প্রতিযোগিতা, থাকে না কোনো হিংসা-বিদ্বেষ, থাকে না অযাচিত কোনো চাওয়া-পাওয়া কিংবা থাকে না কোনো অভিযোগ। শুধুমাত্র পরম ক্ষমা থাকে- আর থাকে বিশ্বজগতের সবকিছু বুঝে ফেলার এক অসীম ক্ষমতা আর যোগসূত্র। থাকে একান্ত নিবিড় একটা নির্মোহ পথচলা যেখানে ব্যক্তি হয়ে উঠে নিজেই নিজের ঈশ্বর- ঈশ্বর যেমন বক্র পথে চলতে পারেন না, নিয়মের বাইরে উঠতে পারেন না, সবকিছু একটা নিয়মতান্ত্রিক বিন্যাসে বিন্যস্ত করে রেখেছেন আর নিজের বানানো কানুনে চলছেন- ব্যক্তিও তখন স্বাতন্ত্র‍্য হয়ে যায়, এক অপার সার্বভৌমিক ক্ষমতায় সে ন্যায়-অন্যায়ের সুক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণ করে বিবেকের সর্বোচ্চ প্রসার ব্যবহার করে এগিয়ে নিতে পারে দেশ, কাল, সমাজ এবং নিজের সাথে পারিপার্শ্বিককেও। ব্যক্তি তখন শুধুমাত্র ব্যক্তিক পরিচয়ে সীমাবদ্ধ থাকে না- তখন সে হয়ে যায় বৈশ্বিক কারন ব্যক্তিগত প্রয়োজন-অপ্রয়োজনের উর্ধ্বে চলে যায় সে ব্যক্তির চাহিদা। তিনি হয়ে উঠেন অসামান্য। "

Comments

Popular posts from this blog

শিল্পীর মৃত্যু

Alienation from the Roots, DNA race and Divine Masculinity-femininity: Super-ego and evolution of Moral Justice

Deconstructed love