পুরোনো মানুষ
পুরোনো মানুষ।
নতুন মানুষ আর কি খুঁজব,
পুরোনোরাই শ্রেয়,
অন্তত, পুরোনোদের সামনে নিজেকে
নতুন করে মেলে ধরতে হয় না।
পুরোনো রাস্তা, ক্যাফেটেরিয়া, পুরোনো বইয়ের গন্ধ,
গলে যাওয়া মোমের শিহরণ, গোলাপ কুড়িকে স্বাগত জানাই,
অন্তত, তারা আমাকে চিনে,
চিনে আমার স্বত্তার নির্যাস,
ঢেকে রাখা স্বতন্ত্রতার আবরণ,
অত্যন্ত সযত্নে লুকিয়ে রাখা গোপনীয়তা- নিজস্বতার খোলস,
পুরোনো ঘ্রাণ- তারা চিনে,
এসময়ে ঠিক এখন মনে রাখা যখন বারণ,
হারিয়ে যাওয়া বসন্ত, পড়ন্ত দুপুরের একটি গাঙচিল চিনেছিল আমার এই অশান্ত মন।
তার সামনেই তুলে ধরা যায় এই নতুন আমিকে,
এই আমাকে- যাকে গড়েছি ঝড়ের পর কোনো এক সতেজ প্রহরে, পুরোনো মানুষ-ঠিক তাদের সামনেই মেলে ধরা যায় নিজেকে নিজের মতন।
বলা যায়- দেখ কতটা পরিবর্তন,
ঝড়ের পরে নতুন শহরের গড়ন,
দেখ- কতটা পরিবর্তন,
নিজের মত করে নিজের শহরকে গড়ে নিলাম,
করলাম চিত্রাংকন,
শহরের সব দেয়ালিকায় লিখলাম খৈয়ামের কবিতা!
আর বললাম নিজের কথন।
অথচ, বলতে পারলাম না কিছুই-
শব্দেরা করে নি:শব্দে বুনন,
নিরবতারও বুঝি একধরনের নি:সঙ্গ ভাষা আছে!
তা আবার বুঝে কে কখন?
পুরোনো মানুষ-
ঠিক তাদেরকেই বলা যায় নিজের না বলা কথাগুলা-
যারা একবার এই আমার ভিতরটা চিনেছিল।
©®
Comments