Posts

Showing posts from October, 2022

ধার্মিকতা আর আধ্যাত্মিকতার মধ্যে তফাৎ

Image
  -ফারহিন ভূঁইয়া ন্যান্সি।  Difference between 'Religiosity' and 'Spirituality'.  ধার্মিকতা হলো খোদা ভীরুতা। খোদার সার্বিক শক্তিকে ভয় পেয়ে নিয়তির জন্যে ভিক্ষা করা বা ঈশ্বরের অনুগ্রহ জীবনে পাবার জন্যে, তার দেয়া বিধি-বিধান মেনে চলা। অন্যদিকে, আধ্যাত্মিকতা হইলো সম্পূর্ণ নিজের বিষয় বা বলা চলে আত্মিক বিষয়। নিজের আত্মাকে তুষ্ট রাখার জন্যে যা যা করা হয় তাই আধ্যাত্মিকতা। অর্থাৎ, অল্পতে সন্তুষ্ট থাকার নাম হচ্ছে আধ্যাত্মিকতা। কারন, একমাত্র যা যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু গ্রহণ করলেই আত্মা সুস্থ থাকে আর আধ্যাত্মিকতা বজায় থাকে। আধিক্যে আধ্যাত্মিকতার রুহ নিঃশেষ হতে থাকে। কাম, লোভ, বাসনা, রাগ, ক্ষোভ, শোককে- নিয়ন্ত্রনে রাখার নাম আধ্যাত্মিকতা,  এখানে ধর্মের কোনো বালাই নেই। একজন অধার্মিকও আধ্যাত্মিক ঘরাণার হইতে পারেন ক্ষেত্রবিশেষে - ধার্মিক আর আধ্যাত্মিক ব্যক্তিকে গুলিয়ে ফেলবেন না এবং ধার্মিকতা, লৌকিকতা আর আধ্যাত্মিকতা নিয়ে পার্থক্য বুঝতে পারা সময়ের দাবী এখন। তফাৎটা, বুঝতে শিখুন। প্লিজ।

জাগতিকতার উর্ধ্বে।

Image
 -ফারহিন ভূঁইয়া ন্যান্সি। জাগতিকতার উর্ধ্বে। "জগতের প্রতি মায়া জাগতিক দুঃখ কষ্ট আরো বাড়িয়ে দেয়। জগত-সংসার থেকে মোহ উঠিয়ে নিলে কোনো দুঃখ আর কাউকে স্পর্স করতে পারে না। যেটা যেমন আছে-থাকুক না-চলুক- এমন বিচ্ছিন্নতাবাদী কিন্তু নিজেকে ভালো রাখার সচেতন প্রয়াসকে বোধ হয় বলে জাগতিকতার উর্ধ্বে উঠা বা অতিক্রম করা-আর একজন সম্পূর্ণ মানুষ হয়ে উঠা। শান্তিপূর্ণ, নিবিড়, নির্মোহ, জ্ঞানী ব্যক্তি হয়ে উঠা। যেখানে থাকতে পারে না কোনো প্রতিযোগিতা, থাকে না কোনো হিংসা-বিদ্বেষ, থাকে না অযাচিত কোনো চাওয়া-পাওয়া কিংবা থাকে না কোনো অভিযোগ। শুধুমাত্র পরম ক্ষমা থাকে- আর থাকে বিশ্বজগতের সবকিছু বুঝে ফেলার এক অসীম ক্ষমতা আর যোগসূত্র। থাকে একান্ত নিবিড় একটা নির্মোহ পথচলা যেখানে ব্যক্তি হয়ে উঠে নিজেই নিজের ঈশ্বর- ঈশ্বর যেমন বক্র পথে চলতে পারেন না, নিয়মের বাইরে উঠতে পারেন না, সবকিছু একটা নিয়মতান্ত্রিক বিন্যাসে বিন্যস্ত করে রেখেছেন আর নিজের বানানো কানুনে চলছেন- ব্যক্তিও তখন স্বাতন্ত্র‍্য হয়ে যায়, এক অপার সার্বভৌমিক ক্ষমতায় সে ন্যায়-অন্যায়ের সুক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণ করে বিবেকের সর্বোচ্চ প্রসার ব্যবহার করে এগিয়ে নিতে পারে দে...

সমাজের অভিভাবক।

Image
  -ফারহিন ভূঁইয়া ন্যান্সি।  সমাজের অভিভাবক।  "একজন অভিভাবকের মত চিন্তা করা  শিখতে পারলে আপনি একজন মহৎ ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন। যে ব্যক্তি একজন অভিভাবকের মত অন্যজনের বৈষয়িক বিষয় বা দুর্বিষহ জীবনের সমাধান করে দেয়ার মত মন-মানসিকতা রাখতে পারে এবং সেই মহৎ উদ্দেশ্য হতে অন্যদের দায়িত্ব গ্রহণ করে, নিঃসন্দেহে সে ব্যক্তি একজন ভালো মানুষ এবং জগতের ভালো করার ক্ষমতা রাখে। এভাবে, প্রত্যেকটা ব্যক্তি যদি তার ভেতরে সুপ্ত অভিভাবকত্ব জাগিয়ে তুলতে পারে তবে প্রত্যেকে একেক করে জগতের যাবতীয় সমস্যাবলি সমাধানের দায়িত্ব নিয়ে নিতে পারত আর জগতটা একটা বসবাস উপযোগী সুন্দর পৃথিবীতে পরিণত হতে পারত! কিন্তু, আমাদের মধ্যে অধিকাংশ সুবিধাবাদী এবং ভোগবাদী। আমরা নিজেদেরকে শুধু ভোগমত্তায় নিয়োজিত রাখি যার জন্যে জগতটাও ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে কারন এই জগতের ভার ভাগ করে নেবার এখন কেউ নাই। কোথাও কোনো মহৎ ব্যক্তির দেখা আমরা আজ আর পাই না, পেলেও কদাচিৎ - রয়ে সয়ে দুয়েকজন তাও সে সংখ্যা গুটিকয়েক। সেই, মহৎ ব্যক্তিরা সামাজিক প্রেক্ষাপটে হয়ে থাকেন নির্বল, শক্তিহীন আর অসহায়, সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে তারা...