Posts

Showing posts from July, 2022

উত্তরাধুনিক সমাজে সাহিত্য শিল্পের প্রয়োজনীয়তা।

Image
  উত্তরাধুনিক সমাজে শিল্প সাহিত্যের প্রয়োজন আকাশচুম্বী। কারন, এই সময়ে মানুষ বিচ্ছিন্ন হতে আরো বিচ্ছিন্নতরো হইতে থাকে, পরিবার থেকে, ব্যক্তিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাভাবনা থেকে, সমাজ ও রাজনৈতিক পরিমন্ডল হতে, অর্থনৈতিক কর্মসংস্থান হতে, বন্ধুত্ব ও ব্যক্তিক সম্পর্ক গুলো হতে। ব্যক্তি মাত্রই নিঃসঙ্গ আর বিচ্ছিন্ন। সে হতাশ হয়ে যায় অল্পতে। কারন, সে একটা নিরাশ আর ভঙ্গুর সমাজে বেড়ে উঠেছে। সবসময় বিচ্ছিন্নতা আর টিকে থাকার লড়াই দেখেছে। তার উপর, আধুনিক সমাজে সবাই এত ব্যস্ত আর কারণিক, কার্যকারণ নির্ভরশীল ও অর্থনৈতিকভাবে চিন্তাভাবনা করে এবং স্বার্থকেন্দ্রিক সম্পর্কগুলো টেকসই হয় কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিধিবদ্ধ নিয়মকানুনের জন্য, ফলত সামাজিক সম্পর্কগুলো ধীরে ধীরে ফ্যাকাশে হয়ে যায়। ব্যক্তির একান্ত আশ্রয়স্থল খুবই কম থাকে। তাহলে, ব্যক্তির কাছে কি থাকে?! ব্যক্তির কাছে ব্যক্তির ব্যক্তিক জীবন ছাড়া আর কিছুই থাকে না। অর্থাৎ, সে নিজেই নিজের সম্বল হয়ে উঠে। তাই, উত্তরাধুনিক সমাজে ব্যক্তি সরাসরি কোনো মানুশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন না করে, বিচ্ছিন্ন ভাবে সময় কাটায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে। কারন, সে জানে মানুষ তাকে নিরাশ করবে। এজন...

My English Poem Collection.(Part-1)

Image
Farheen Akter Bhuian(01.11.98--) 01.A story of loyalty. I am loyal to you for decades and those sincerities can't be put on facades. I've been with you in all thick and thins, I've wandered with you in those dreadful rocky mountains and slippery expedients!  So, that was my part of story. But, I forgot, You have a version of your own part in the storyline too!  Once in a chitchat with your so called friends actually aka foes in a lavish dine, I overheard you saying,  "Ugh, she's a loyal bitch ! Forever, barking but not biting, a docile creature that only circulates around it’s master, she is just a circle, I am the center of it!"  Really?!  It seems so! Here I want to rewrite the story and there's a plot twist,  "If you think me a loyal dog, I will bite you if you are caught of security, But, if you think me a loyal baby tigress, I will rip you apart before you even start crawling!"  Moral of the story is," Never, doubt my loyalty and never ...

হেবারমাসের জ্ঞানের সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব এবং কমিউনিকেটিভ একশন থিওরির উপর সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে পর্যালোচনাঃ ঠিক কতটা মুক্ত হতে পারবে সমাজ?

Image
জারগেন হেবারমাস(১৯৭০-১৯৮০) ©® ফারহিন ভূঁইয়া ন্যান্সি।  ভূমিকাঃজারগেন হেবারমাস গত দশকের (১৯৭০-১৯৮০) একজন খ্যাতনামা জার্মান সমাজবিজ্ঞানী যিনি তাঁর মননশীল পদচারণা বিস্তার করেছেন সুদুর দর্শনশাস্ত্র হতে সমাজবিজ্ঞানে। সমাজবিজ্ঞানের ক্রিটিকাল থিওরিতে তিনি সংযোজন করেন নতুন মাত্রা সেই সাথে ঐতিহাসিক ভাববাদকে জ্ঞানের অগ্রযাত্রায় এক অতীব জরুরি উপাদান হিসেবে দাঁড় করিয়ে তিনি মানব চাহিদা ও তদানিন্তন জ্ঞানের বিকাশের ভুমিকা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। তাঁর চিন্তাভাবনার শেকড় জার্মান কান্তীয় হতে মার্ক্সীয় পরম্পরায় গ্রথিত। তিনি, ফ্রাংকফুর্ট স্কুলের সাথেও সন্নিবেশিত ভাবে জড়িত ছিলেন যারা মার্ক্সবাদকে ফ্রয়েডবাদের সাথে মেলান। সেখানে হেবারমাস তাঁর নব নব তত্ত্ব যেমন জ্ঞানের সমাজতাত্ত্বিক পর্যালোচনা যা নিরপেক্ষ নয় বরং, মানুষের চাহিদা ও কর্মের সাথে সম্পৃক্ত, সিস্টেম এবং লাইফওয়ার্ল্ড, উদ্দেশ্যমূলক এবং সংযোগমূলক কর্ম, আধুনিকতার উদ্ভব ও বিকাশ এবং বিবর্তন, প্রমুখ নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচিত প্রবন্ধে আমরা হেবারমাসের জ্ঞানের সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বের বিশদ বিশ্লেষণ করব সমসাময়িক সমাজের প্রেক্ষাপটে। হেবারমাস দেখিয়েছেন যে...

বুঁর্জোয়াতন্ত্রের বুঁর্জোয়া পরিবারগুলো।

Image
  ফারহিন ভূঁইয়া ন্যান্সি।  বুঁর্জোয়াতন্ত্রের বুঁর্জোয়া পরিবারগুলোতে প্রেম-ভালোবাসা থাকে না, যা থাকে, তা হলো শুধু সম্পত্তি ও স্টেটাস রক্ষার জন্য একতা ও লড়াই।এখানে, প্রেম-ভালোবাসা ও মানবিক গুনাবলীও আসলে শ্রেনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, প্রভাবিত এবং পুনঃবিন্যাসকৃত।  সম্পর্কগুলো আসলে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের লড়াই। একটা জীবনব্যাপী  পলিটিক্স, এ রাজনীতিকরণের প্রথম ও প্রাথমিক মেরু পরিবার। বস্তুত, প্রত্যেকটা মানুশই কুটনৈতিক! কারুর কারুর কলাকৌশল ধরা পড়ে, কারুরটা ধরা পড়ে না। দ্বন্দ্ব বাঁধে তখনি যখন আপনি ক্ষমতা নিজের হাতে নিতে চাইবেন। এটা, হলো কর্তৃত্বের লড়াই। সমতা কিংবা ভালোবাসার বা অধিকারের নয়। আপনি তখনি কারুর কাছে ভালো যখন আপনি তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন এবং তাকে আপনার নিয়ন্ত্রন তুলে দিবেন। এক্ষেত্রে, আপনি হলেন আম জনতা (রিপাবলিক) আর সে ব্যক্তি হলো, ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ (পলিটি)। আপনি, তখনি তার খারাপ অভিধানের তালিকাভুক্ত হবেন, যখন আপনি নিজেও কর্তৃত্ব ফলাতে চাইবেন বা সমান অধিকার চাইবেন, অথবা, কারুর ক্ষতি না করে অপরের নিয়ন্ত্রনের প্রভাব বলয়ে থাকতে না চেয়ে নিজের মত নিজে থাকতে চাইবেন, তখনি দেখব...

লেখালেখি করবার কুপ্রভাব

Image
  ফারহিন ভূঁইয়া ন্যান্সি।  লেখালেখি করবার কুপ্রভাব ১.,একসময় লিখতে লিখতে খুব ডিপ্রেসড হয়ে যাবেন। ২.মনোযোগ হ্রাস পাবে। অর্থাৎ আপনি অন্যমনস্ক হয়ে যাবেন খুব সহযে। ৩. অযথা অনেক চিন্তা করে ক্লান্ত হয়ে যাবেন। দিনশেষে আপনি অলসদের কাতারেই দাঁড়াবেন। ৪. অযথা অনেকের হিংসার কারন হবেন। তাদের দ্বারা ইমোশনাল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। ৫.মনের অজান্তেই সব ছেড়েছুড়ে চলে যেতে ইচ্ছা করবে। এবং অনেকসময় লেখকরা তা করেও থাকেন । এক্সট্রিম লেভেলে। ম্যাক্সিমাম লেখকদের জীবনী পড়ে যা বুঝলাম , হয় তারা নির্জন কোথাও চলে গেছে, চাকরি ছেড়ে দিয়েছে, কেউ কেউ একাডেমিক পড়াশুনা শেষ করতে পারে নাই , কেউ সংসার ছেড়ে দিয়েছে নাহয় দফায় দফায় সংসার বদলেছে ঠিক কর্মসংস্থানের মত। দেশ বদলেছে। একা হয়েছে। একা থাকতে চেয়েছে।বদল আর বদলের জীবন থেকে এত এত নেগেটিভিটি উদ্দিপক হয়ে লেখা আকারে বেরিয়েছে যা আমরা এত তৃপ্তি সহকারে পড়ি। যাকে কিনা আমরা অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান বলি। ৬. বাস্তবতা আর কল্পনার মাধ্যমে এমন এমন সৃষ্টি তৈরি করে যা আদতে তাকেই নিঃশেষ করতে থাকে।  ৭. একজন লেখক ন্যাচারাল ইমপ্যাথ হয়। সে সবার দুঃখ কষ্ট নিজের দিকে টেনে নেয় এবং খুব দুঃখিত হ...

শাসক আর শোষিতের সম্পর্ক

Image
  শাসক আর শোষিত একই সমান্তরালে অবস্থিত।  ফারহিন ভূঁইয়া ন্যান্সি।  শাসক আর শোষিতের মধ্যে সম্পর্কে শাসক ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায় আর শোষিত ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে যায় যদি সে একবার সে ধারাটিতে সফলভাবে টিকে যেতে পারে ত! কারন, ততদিনে শাসক শোষণ করবার সবকটি পন্থা অবলম্বন করে ফেলে, সবভাবে সে শোষিতকে অত্যাচারিত করতে থাকে। এর ফলে, তার কাছে আর নতুন কোনো পদ্ধতি বা কারণ ও থাকে না বঞ্চিত করার। এতে, শোষিত যদি সবকটা বাধা বিপত্তি আর পদ্ধতির মুখোমুখি হয়েও উতরে যেতে পারে এবং স্থিতিশীলতার গুনে টিকে থাকতে পারে, তবে শাসক এবার শোষিতদের ভয় পাওয়া শুরু করে। তখন, শাসক আবারও সেই পুরোনো ভয়ের অস্ত্র উচিয়ে ধরে, পুরোনো কায়দাগুলোর পুনরাবৃত্তি করে। কিন্তু, তখন আর লাভ হয় না। কারন, ততদিনে শোষিত ভয় পাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। সে এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছে আর জানে শোষণের মাত্রা বাড়লে কি করতে হবে, কিভাবে পার পেতে হবে এবং কতটা সময় পরে সে ঠিক হতে পারবে। তার আর ভয় লাগে না। কোনো আশা নেই, হতাশা নেই, কোনো আবেগ তার মধ্যে কাজ করে না যা কিনা শাসক খুব আগ্রহ ভরে শোষিতের মধতে দেখতে চাইত। সে ভয়, সে নির্ভরতা, সে অসহায়ত্ব সে শোষিতের মধ্যে ...

আধুনিক সাক্ষাতকার গুলো

Image
 আধুনিক প্রযুক্তি ব্যক্তির উপস্থিতিতে নস্যি করে তোলে। এই যেমন প্রযুক্তি থাকাতে আমরা ব্যক্তির ঠিক অতটুকুই নিচ্ছি যতটুকু আমাদের প্রয়োজন। যেমন, করোনা মহামারীতে জুম মিটিং, স্কাইপ, ওয়াটসএপ ও অন্যান্য ভিডিও কলিং আর মিটিং এপ গুলোর ব্যাপক প্রসারে এখন ব্যক্তিকে আর সামনাসামনি উপস্থিত থাকা লাগে।আমরা, মিটিং করি কেন, উন্মুক্ত আলোচনার জন্য। সে আলোচনাতে ব্যক্তির বিমূর্ত উপস্থাপনারও এখন প্রয়োজন পড়ছে না, অর্থাৎ, মিটিং এ দরকার কথা বলা ও কথা শোনা, তাই আমরা ব্যক্তিকে সামনাসামনি দেখারও প্রয়োজন মনে করছি না। দরকার হলে, অতিরিক্ত ফর্মাল সাজগোজেরও প্রয়োজন থাকছে না কারন মানুশ এখন মানুশের চেহারা দেখে কথা বলার অভ্যাসটাও ছেড়ে দিয়ে অবলীলায়! কারন, প্রযুক্তি ব্যবহারের উছিলায় আমরা বেছে নিচ্ছি আমাদের জন্য ব্যক্তিক সুবিধা। সেই, পরিস্থিতিতে ব্যক্তি মাত্রই নগন্য হয়ে যায়, ব্যক্তির কর্ম তথা কর্মই মুখ্য হয়ে যায় এবং, এতদ প্রক্রিয়াটি সংক্ষিপ্ত, বিমূর্ত ও নিরস হয়ে যায়। কারন, ব্যক্তি এখানে আর তার ব্যক্তিক প্রভাব দিয়ে অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে না, যা করতে পারে, তা হলো ব্যক্তিক মতামতের সমৃদ্ধ সাধন করে নিজের এবং অপরের মনোযোগ...